আরব বিশ্বের বাইরে যে দেশে সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনি বসবাস করে
গাজা বা পশ্চিম তীর থেকে দূরত্ব ১৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি হবে। কিন্তু আরব বিশ্বের বাইরে যে দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফিলিস্তিনি থাকেন সেটি হল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি - যেখানে প্রায় পাঁচ লাখের মতো ফিলিস্তিনি বসবাস করেন।
চিলিতে বসবাসকারী এই ফিলিস্তিনিরা সেখানে থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলছেন।
এক মাস আগে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পর থেকে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে হাজারো ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেছে।
ইসরায়েলে হামাসের ৭ই অক্টোবরের হামলায় ১৪০০ মানুষের মৃত্যু হয় আর ২০০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ইসরায়েলি সরকার গাজায় যে অভিযান ও বোমাবর্ষণ করছে তাতে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১০ হাজার, যার মাঝে ৪৩০০ জনই শিশু - বলছে গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সবশেষ শনিবারেও তারা ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ 'কুফিয়া' পরে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ করেছে। প্রতিকূলতা, নিপীড়নের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার মতো বা “এটা যুদ্ধ নয়, গণহত্যা” এমন প্রতিবাদী নানা স্লোগান দিয়ে তারা মুখর করে তোলে সান্তিয়াগোর রাস্তা।
চিলিতে বাস করা ফিলিস্তিনিদের অনেকেরই আত্মীয়স্বজন গাজা উপত্যকায় বা এর কাছাকাছি থাকে। ইসরায়েল সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করার পর সেসব স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করাটাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। তারা পুরো সংকটটাকে অন্তর থেকে অনুভব করে।
একটি ঘটনা তো পুরো তাদের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল। ঘাসান সাহুরিয়ে নামের সাত বছর বয়সী চিলির এক ফিলিস্তিনি শিশুকে গাজায় বেশ কয়েকদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরবর্তীতে একটি স্থানীয় হাসপাতালে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়।
“গাজায় যা হচ্ছে সেটা আমাদের মনে নাড়া দিয়েছে। সেখানের অবস্থা দেখে আমরাও আক্রান্ত হচ্ছি,” বিবিসি মুন্ডোকে বলছিলেন চিলির ফিলিস্তিনি কমিউনিটির নির্বাহী পরিচালক ডিয়েগো খামিস।
দক্ষিণ আমেরিকায় দেশটিতে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ভেরা বাবুন জানান “ঐতিহাসিকভাবেই ফিলিস্তিনে ঘটা সব ধরণের নৃশংসতার বিরুদ্ধে চিলির ফিলিস্তিনিরা সোচ্চার।”
কিন্তু কীভাবে চিলির লোকজনের সাথে ফিলিস্তিনিদের সাথে এতটা সুসম্পর্কের বন্ধন গড়ে উঠলো? এতো বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনিই বা কেন এত দূরের একটা দেশে পাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো?
Source: https://www.bbc.com/bengali/articles/c729wvy6vedo
No comments