বাংলাদেশের বিস্ময় সজীব ওয়াজেদ জয়
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই, যখন জাতির পিতা কারাগারে, শেখ কামাল যুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্য বাড়ি ছেড়েছেন, শেখ পরিবারের অন্যনারাও বিভিন্ন মামলায় জেলে ঠিক ওই সময়ে শেখ পরিবারের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র, শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। অনেক কষ্টের মাঝে যেন এক টুকরো সুখ নিয়ে আসেন শেখ পুরিবারের এই ছোট্ট শিশু জয়।
একাত্তরের ২৩ মার্চে যখন প্রথম ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিসহ দেশের সবখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়, তখনই বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন- নাতি হলে নাম ‘জয়’ রাখতে। কেননা, সে জন্ম নেবে এক স্বাধীন বাংলাদেশে।
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাবেক ডাকসু নেতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার এই সন্তান উজ্জ্বল করেছেন বিজ্ঞানী বাবার নামও। তারই নেতৃত্বে ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়েছে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও বঙ্গবন্ধুকন্যার পুত্র হিসেবে দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার দিকনির্দেশনায় যে ডিজিটাইলেশনের শুরু তাতে কেবল কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির নির্ভরতা কাটিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে যুক্ত নতুন নতুন খাতেও বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে সদর্পে। যা বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণে সারা দুনিয়া থমকে গিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের মানুষ যে বিপুল গতিতে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পেরেছেন, তার অন্যতম কারণ শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এদেশের মানুষের তথ্য-প্রযুক্তিতে ‘এক্সেস’ বা সক্ষমতা তৈরি হওয়াটাও।যেটার বাহক একমাত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
মহামারীর সময়েও ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি চালিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্যক্তি।ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করেই সৃষ্টি হয়েছে লাখো লাখো মানুষের কর্মসংস্থান এই মহামারীতে।
মানুষকে স্বাবলম্বী করতে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে পর্দার অন্তরালে কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রায় একক প্রচেষ্টা ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের বুকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সুপরামর্শ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।
আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেই ২০০৭ সালে একেবারে নিজের চিন্তার স্বকীয়তা ও দূরর্শিতার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন সজীব ওয়াজেদ জয়।
১৯৭৫-পরবর্তী নির্বাসিত জীবনে ভারত থেকে লেখাপড়া করে স্নাতক অর্জন করেন তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে আবারও স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও সম্পন্ন করেন। ফলে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও তার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।
২০১০ সালে রংপুরের পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। সেই থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ও রাজনীতি- দুটোকেই গণমুখী ও কল্যাণকামী করে তোলার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আধুনিক বাংলাদেশের তারুণ্যের জন্য উন্নয়নমুখী রাজনীতির নতুন ধারা চালু হয়েছে তার হাত ধরেই।
দ্রুত ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে এগিয়ে থাকা দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় গত ১১ বছরে গড়ে ওঠা তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামোই বর্তমানে মহামারিকাল সামাল দিতে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জরুরি সেবাসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে।যার একমাত্র কৃতিত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ তৈরি করা হচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে। নজর দেওয়া হচ্ছে গবেষণার ওপরও।
ভবিষ্যতের বড় বড় প্রযুক্তির কিছু কিছু বাংলাদেশ থেকেই তৈরি হবে।সেই পরিকল্পনা নিয়েই সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে এক দশক ধরে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরে নেওয়া নানা উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে মানুষ। গত চার বছরে ডিজিটাল অর্থনীতিতে চমকপ্রদ অগ্রগতি অর্জন করে হুয়াওয়ের ‘গ্লোবাল কানেকটিভিটি ইনডেক্স ২০১৯’-এর ‘টপ মুভার’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল অর্থনীতিতে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনার মাধ্যমে সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত ছিল বড় টার্নিং পয়েন্ট। এর সুফল আজ আমরা পাচ্ছি। জয়ের নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৬০০ ধরনের সেবা পাচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল ইকোনোমিক হাব হয়েছে,যা ছিলো সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেনচাইল্ড।তার নির্দেশনায় বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি পৌছে দেয়া হয়েছে।
জয়ের বিচক্ষণতায় আজকে দেশে ডিজিটাল স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন করা হচ্ছে, যা আগে প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হতো।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল ৯৯৯ জরুরি সেবা, যার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশের কোটি মানুষ।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য সরবরাহ, ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ও ঘরে বসেই বিনোদন- এসব বিষয়ের উদ্যোক্তা সজীব ওয়াজেদ জয়।
স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে জরুরি খাদ্য সরবরাহ, এমনকি ঘরে বসে বিনোদন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে।যার কৃতিত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের।
তার পরিকল্পনার ফলস্বরূপ করোনাবিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা, সেলফ করোনা টেস্টিংসহ অনেক নতুন সেবা যুক্ত করা হয় হেল্প লাইন ৩৩৩ নম্বরে। এ ছাড়া করোনা বিডি অ্যাপ এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ, ‘ভলান্টিয়ার ডক্টরস পুল, বিডি’ অ্যাপ সেলফ টেস্টিং টুল, প্রবাস বন্ধু কল সেন্টার, ডিজিটাল ক্লাসরুম, ফুড ফর নেশন, এডুকেশন ফর নেশনসহ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়।
তার নেতৃত্বে ২০২৫ সালের মধ্যে গ্রামের ১০ কোটি মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে। আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ২০ লাখ মানুষের। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় হবে। ফলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১ শতাংশের বেশি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের কোটি তরুন চাকরি না খুঁজে যাতে নিজেরাই চাকরি দিতে পারে সেই লক্ষ্যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আইসিটি বিভাগে ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি (আইডিয়া) স্থাপন করা হয়েছে।
মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চারটি পিলারকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ও প্রধান পিলার হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন। মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য একটা পিরামিড স্ট্রাকচার গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানে পিরামিডের টপে কিছু ইনোভেটর ও ইয়ং এন্টারপ্রেনার থাকবে।
কিছুসংখ্যক
সফল
উদ্যোক্তাই
ব্যাপক
কর্মসংস্থান
সৃষ্টি
করবে।
আর দ্বিতীয়
ধাপে
থাকবে
কিছু
অ্যাচিভার
অর্থাৎ
যারা
গ্র্যাজুয়েশন
শেষ
করে
বিভিন্ন
কম্পানিতে
জব করবে।
তৃতীয়
স্তরে
থাকবে
লাখ
লাখ
ফ্রিল্যান্সার,
যারা
কাজ
করবে
গ্রাম
কিংবা
শহর
থেকে
দেশে
কিংবা
বিদেশে।
এটাই
সজীব
ওয়াজেদ
জয়ের
ইন্টেলেকচুয়াল
পরিকল্পনা।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনা পাঠসূচিতে যেমন শিশুরা আইসিটি অধ্যয়ন করছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার। এমনকি দেশের বিপিও খাতে বর্তমানে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে; ৫০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সাড়ে ছয় লাখ মানুষ এই মুহূর্তে আইসিটি সেক্টরে চাকরি করছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ মানুষের কাজ করার সুযোগ হবে এই খাতে। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী।
জয় বাংলা ইয়ূথ এ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন তরুন সংগঠনকে আজ উৎসাহিত করা হচ্ছে।যার মূল পরিকল্পনাকারী সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তিনি নিজ হাতেই সেসকল তরূন উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করে থাকেন।
গত সাড়ে ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে গেছে, তেমনি তার পুত্রের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে এ দেশ প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে।
No comments